যশোরে প্রাথমিকের সব বই এলেও মাধ্যমিকের বই এসেছে অর্ধেকেরও কম। প্রাপ্তির হার ৪৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। রাত পোহালেই শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে। কিন্তু বছরের প্রথম দিনেই সব বই পাচ্ছে না মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, যশোর জেলায় ৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৭ শিক্ষার্থীর জন্য মোট বইয়ের চাহিদা ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ৩০৩ পিস। এর মধ্যে এসেছে ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩৬ পিস বই। প্রাপ্তির হার ৪৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ইবতেদায়ি বাংলা বইয়ের ৯২ হাজার ৭০০ পিস চাহিদার বিপরীতে এসেছে ৯১ হাজার ৭০০ পিস। দ্বিতীয় শ্রেণির ইবতেদায়ি বাংলা বইয়ের ৮৭ হাজার ৯৬৬ পিস চাহিদার মধ্যে এসেছে ৮৬ হাজার ২০৫ পিস। তৃতীয় শ্রেণির ইবতেদায়ি বাংলা বইয়ের ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১৬ পিস চাহিদার বিপরীতে এসেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৯৯ পিস। চতুর্থ শ্রেণির ইবতেদায়ি বাংলা বইয়ের চাহিদা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৬ পিস এবং পঞ্চম শ্রেণির ইবতেদায়ি বাংলা বইয়ের চাহিদা ১ লাখ ৮ হাজার ৪০০ পিস। ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বইয়ের ৫ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৩ পিস—সব বই এসেছে।
সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৫ পিস চাহিদার বিপরীতে এসেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩০৫ পিস। অষ্টম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬০ পিস এখনো আসেনি। নবম শ্রেণির মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ৬ লাখ ১১ হাজার ৫৪০ পিস চাহিদার মধ্যে এসেছে ৩ লাখ ২ হাজার ৬৫৮ পিস।
ষষ্ঠ শ্রেণির মাধ্যমিক ইংরেজি ২ হাজার ৩১০ পিস, সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২ হাজার ৩৫ পিস, অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি ১ হাজার ৯৮০ পিস এবং নবম শ্রেণির ইংরেজি ৩ হাজার ২০ পিস বই এসেছে। তবে দাখিল ষষ্ঠ শ্রেণির ২ লাখ ১১ হাজার ২৫০ পিস, সপ্তম শ্রেণির দাখিল বাংলা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৮৯ পিস, অষ্টম শ্রেণির দাখিল বাংলা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৮ পিস এবং নবম শ্রেণির দাখিল বাংলা ২ লাখ ৬ হাজার ৪৩৫ পিস বই আসেনি।
ষষ্ঠ শ্রেণির ভোকেশনাল (ট্রেড) ও অষ্টম শ্রেণির বাংলা ৪ হাজার ৫০০ পিস এবং নবম শ্রেণির ৪৭ হাজার পিস বই এসেছে। তবে সপ্তম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির ভোকেশনাল (ট্রেড) বাংলা বই এখনো আসেনি।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম জানান, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য বইয়ের চাহিদা ছিল ১২ লাখ ৮২ হাজার ৭২৫ পিস। শতভাগ বই পাওয়া গেছে এবং সব বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অভয়নগরে ১৭ হাজার ৩৫৬ পিস, কেশবপুরে ১ লাখ ৯ হাজার ৩২০ পিস, চৌগাছায় ১ লাখ ১ হাজার ৮০ পিস, ঝিকরগাছায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮২৪ পিস, বাঘারপাড়ায় ৮৬ হাজার ৫১২ পিস, মণিরামপুরে ২ লাখ ৩ হাজার ৯৩৭ পিস, শার্শায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০ পিস এবং সদর উপজেলায় ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৫ পিস বই বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, মাধ্যমিকে মোট চাহিদা ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ৩০৩ পিস বইয়ের বিপরীতে এসেছে ১১ লাখ ২০ হাজার ৯৪১ পিস। প্রাপ্তির হার ৩১ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৬ পিস, বাঘারপাড়ায় ৮৭ হাজার ৭৩০ পিস, চৌগাছায় ৬৭ হাজার পিস, ঝিকরগাছায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ পিস, মণিরামপুরে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫২২ পিস, কেশবপুরে ১ লাখ ২২ হাজার ৩৫০ পিস, অভয়নগরে ৯০ হাজার ৬০০ পিস এবং শার্শায় ১ লাখ ১২ হাজার ১২৩ পিস বই এসেছে।
যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন জানান, আপাতত যে বইগুলো এসেছে, সেগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থী বই পাবে।
এনআই