যশোরে সৌদি রিয়াল প্রতারক চক্রের সদস্য বিপুল পেয়াদাকে (৩৭) আদালতের মাধ্যমে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিবি পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। যশোর ডিবি পুলিশের এসআই আবু হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) যশোর শহরের আখপট্টি রোড থেকে জনতা বিপুল পেয়াদাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বিপুল পেয়াদা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আইকদিয়া গ্রামের ইউনুস পেয়াদার ছেলে।
ভুক্তভোগী যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকারিয়া হোসেন জানান, গত ১০ মে তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা নিজেদের কাছে সৌদি রিয়াল আছে দাবি করে কম মূল্যে তা বিক্রির প্রস্তাব দেয়। ১ হাজার ২০০ সৌদি রিয়ালের বিপরীতে তারা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। লাভের আশায় তিনি তাদের প্রস্তাবে রাজি হন।
পরবর্তীতে ১২ মে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে শহরের খালদার রোডে যেতে বলা হয়। সেখানে গেলে তারা তাকে সৌদি রিয়াল দেখিয়ে জানায়, নগদ পাঁচ লাখ টাকা দিলে তিনি ১০ হাজার রিয়েল পাবেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করে তিনি পাঁচ লাখ টাকা দেন। টাকা নেওয়ার পর আসামিরা দ্রুত তার হাতে একটি ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ব্যাগটি খুলে তিনি দেখতে পান, ভেতরে কোনো টাকা নেই—শুধু কাগজপত্র রয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই তিনি প্রতারকদের খুঁজতে থাকেন। অবশেষে ৩০ ডিসেম্বর যশোর শহরের আখপট্টি রোডে বিপুল পেয়াদাকে চিনে ফেললে জনতার সহায়তায় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এনআই