কৃষিপ্রধান অঞ্চল দিনাজপুরের হিলিতে প্রায় সময় ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। সেচ পাম্পে ব্যবহৃত এই মূল্যবান যন্ত্র চুরি হওয়ায় বোরো মৌসুমের শুরুতেই হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আলু, সরিষা, গমসহ নানা ফসলের সেচ দেওয়া ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে, ট্রান্সফরমার চোরচক্রের সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলছে পুলিশ।
শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। সাম্প্রতিক সময়ে দিনাজপুরের হিলি হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গভীর ও অগভীর সেচ পাম্প থেকে বারবার ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে। চলতি নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের মশিদপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এর আগেও তার দুই বার এই ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও চলতি বছরে ৬টি সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এই ধারাবাহিক চুরির কারণে কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কৃষকরা বলছেন, প্রতিটি ট্রান্সফরমারের বাজারমূল্য কয়েক হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। আর কিছু দিন পর আমন ধানের মৌসুম শেষ হবে, এরপর বোরো ধানের চারা রোপণ এবং জমিতে নিয়মিত সেচ দেওয়ার সময়। এ ছাড়াও আলু, সরিষা, গমসহ নানা ফসল রোপন করবেন কৃষকরা। ট্রান্সফরমার চুরির কারণে সেচ পাম্পটি পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। এতে করে সঠিক সময়ে ফসল রোপন করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
হিলি পল্লী বিদ্যুৎ-২ অফিসের এজিএম মোহাম্মদ সোরয়ার্দী বলেন, ‘প্রথম যদি ট্রান্সফরমার চুরি হয় তাহলে গ্রাহককে দিতে হয় ৫০ শতাংশ এবং পরবর্তীতে চুরির ঘটনা ঘটলে পুরো টাকা গ্রাহককে দিতে হয়।’ তবে, কেউ যদি আবেদন করেন, তাহলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিভাগ ট্রান্সফরমার লাগিয়ে দেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘এই ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা কেবল কৃষকদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং এটি সামগ্রিকভাবে কৃষি উৎপাদন ও স্থানীয় অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ট্রান্সফরমার চোরচক্রকে ধরতে সর্বদা কাজ করছে পুলিশ।’
ইখা