ফিফা বিশ্বকাপের শুরু হতে বাকি আছে ৬ মাসের একটু বেশি সময়। প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে ৩২টি দল জায়গা করে নিয়েছে। প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে কোনো কোনো দল। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও তারকা ফুটবলাররা মানসিক এবং শারিরীকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে বিশ্বকাপের জন্য।
মেসি-রোনালদো-এমবাপ্পে’র মতো তারকা ফুটবলাররা যখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই দলে জায়গা ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র। ইনজুরি থাকা স্বত্বেও অনুশীলনে ঘাম ঝড়াচ্ছেন এই ফুটবলার।
বাঁ পায়ের মেনিস্কাসে চোট ধরা পড়ায় অনুশীলনের সময়ই ব্যথা ও অস্বস্তিতে পড়ছেন তিনি। সান্তোসের চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন এবং প্রয়োজন হলে আর্থ্রোস্কপি সার্জারি করার কথাও বলেছেন। তবে নেইমার তা মানা ছাড়াই অনুশীলনে নামেন।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, চিকিৎসক, সান্তোস ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং ব্যক্তিগত স্টাফদের কাছ থেকে খেলা বন্ধ রাখার পরামর্শ পেয়েছেন নেইমার। একইসঙ্গে তারা মেনিস্কাস অঞ্চলের চোট দ্রুততম সময়ে সারাতে অ্যান্থ্রোস্কপি (হাঁটুর সংযোগস্থলে সার্জারি) করারও নির্দেশনা দেন। সার্জারি করলে ২০২৫ সালে আর খেলা হবে না সাবেক এই বার্সেলোনা ও পিএসজি ফরোয়ার্ডের।
বর্তমানে ব্রাজিলিয়ান লিগ সেরি এ’তে রেলিগেশনের ঝুঁকিতে থাকা সান্তোসের আরও তিন ম্যাচ বাকি। নেইমারের সেসব ম্যাচে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রবল। শুক্রবার স্পোর্ট রেসিফে’র বিপক্ষে ম্যাচ আছে ক্লাবটির। ম্যাচটিতে খেলতে চান নেইমার। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ক্লাবের সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনেও যোগ দিয়েছেন নেইমার।
সান্তোসের জন্য শেষ ৩টি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ, এই বাধা টপকাতে না পারলে তারা অবনমন হয়ে দ্বিতীয় স্তরের লিগ সেরি বি’তে নেমে যাবে। আর তাই চোট আরও বড় আকার ধারণ করার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও খেলতে চান নেইমার।
এদিকে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার জন্য নেইমারকে শতভাগ ফিট থাকতে হবে। ২০২৫ সালে চারবার চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে পর্যন্ত ঊরু এবং হাঁটুর ইনজুরিতে এই তারকা খেলেছেন মাত্র ২৫টি ম্যাচ, গোল করেছেন সাতটি।
সব মিলিয়ে নেইমারের জন্য সামনের পরিস্থিতি খুবই জটিল। একদিকে ক্লাবের ‘রেলিগেশনের’ শঙ্কা অন্যদিকে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেওয়া।
আরডি