এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    দুর্নীতির 'প্রমাণ মিলেছে' ভূঞাপুরের সেই প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ পিএম

    দুর্নীতির 'প্রমাণ মিলেছে' ভূঞাপুরের সেই প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ পিএম

    টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ স্বপনের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দ, উন্নয়ন ফান্ড, ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স এবং তৃতীয় ধাপের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। সাত ইউপি সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র।

    জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট ইউনিয়নের সাতজন সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নিয়মিত বৈঠক বা রেজুলেশন ছাড়া প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সাঈদ স্বপন সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ ও উন্নয়ন ফান্ড থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ভিজিডির ২৮৬ কার্ডের মধ্যে মাত্র ৬০টি ইউপি সদস্যদের বরাদ্দ দিলেও বাকি কার্ডগুলো নিজের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছে দেন। ভিজিএফ কার্ড বিতরণেও অনিয়মের উল্লেখ রয়েছে। টিআর-কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে নিজের গ্রাম আগতেরিল্যায় কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনার বড় অংশ নাম-বেনামে দেখিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়।

    এদিকে অভিযোগের এক মাস না যেতেই স্বপনের বিরুদ্ধে আবারও ওঠে সরকারি ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কর্মসূচির প্রায় পৌনে ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে টানা তিন মাস নিজের কাছে রেখে দেন তিনি- এমন তথ্য উঠে আসে পৃথক অভিযোগে।

    এই দুই ঘটনায় পৃথকভাবে সময়ের কণ্ঠস্বরে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসন দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করে। ভিডব্লিউবি দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিমা আক্তার, যেখানে তিনি স্বপনকে দায়ী করেন।

    আর ইউপি সদস্যদের অভিযোগ তদন্ত করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে মৎস্য কর্মকর্তা রিমা আক্তার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান। সরেজমিন যাচাই-বাছাই, কাগজপত্র পরীক্ষা এবং অভিযুক্তের বক্তব্য গ্রহণ শেষে তারা সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে ইউএনও প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান।

    তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স, সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ ও উন্নয়ন ফান্ডে অনিয়মসহ সব অভিযোগেরই প্রমাণ মিলেছে। তাই প্যানেল চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদনটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

    জানতে চাইলে ভূঞাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'ইউপি সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা একটি দীর্ঘ তদন্ত করি। অভিযুক্তকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সব ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছি।'

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব হাসান জানান, তিনি তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছেন এবং তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

    এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক শরীফা হক এবং জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার বিভাগ) মো. শিহাব রায়হানকে ফোন করা হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি।

    এসকে/আরআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…