এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    খুঁড়িয়ে চলছে যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম

    খুঁড়িয়ে চলছে যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম

    যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) ফরেনসিক বিভাগে শিক্ষক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে তিনজন প্রভাষক দিয়ে এই বিভাগের কার্যক্রম চলছে। কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে শূন্য রয়েছে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের পদ।

    সহকারী অধ্যাপক পদে একজন থাকলেও তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে। এ পদে একজন ডা. সংযুক্ত করা হলেও তিনি কর্মস্থলে আসেন না। বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগটি খুঁড়িয়ে চলছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আবার লাশের ময়নাতদন্ত ময়নাতদন্ত কার্যক্রমে দুর্ভোগ বেড়েছে।

    কলেজের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, যমেকে ফরেনসিক বিভাগে ৬ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে। এগুলো হলো অধ্যাপক পদ ১টি, সহযোগী অধ্যাপক ১টি, সহকারী অধ্যাপক পদ ১টি ও প্রভাষক পদ ৩টি। ৬ টি পদের বিপরীতে কর্মরত ছিলেন ৪ জন। তারা হলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. বাবুল কিশোর বিশ্বাস, প্রভাষক ডা. মোসা. রাজিয়া আক্তার, ডা. শামীমা শিরীন ও ডা. রিংকি মজুমদার। ডা. বাবুল কিশোর বিশ্বাসকে দুই মাস আগে রংপুর মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।

    সূত্র জানায়, সহকারী অধ্যাপক পদে ডা. রাজিবুল ইসলামকে সংযুক্তি করা হলেও তিনি রংপুর থেকে কর্মস্থলে আসেন না। কারও সাথে কোন যোগাযোগ করেন না। বিভাগ থেকে তার যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনা। ফলে সহকারী অধ্যাপক পদও শূন্যের থাকার মত অবস্থা। এদিকে, কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে কেউ যোগদান করেননি।

    জানা গেছে, সহকারী অধ্যাপক ডা. বাবুল কিশোর বিশ্বাস মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত ও পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রস্তুত করতেন। ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে একমাত্র তিনি এই দায়িত্ব পালন করতেন। প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ লাশের ময়নাতদন্ত করতেন তিনি।

    তার বদলির পর ফরেনসিক বিভাগের কেউ এখন ময়নাতদন্ত বিভাগে নেই। জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে লাশের ময়নাতদন্ত করতে হচ্ছে একই মেডিকেল অফিসারের। জরুরি বিভাগের ৬ জন মেডিকেল অফিসার রোস্ট্রার অনুযায়ী ডিউটির ফাঁকে লাশের ময়নাতদন্তের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

    ফলে একদিনে রোগী ভর্তিতে বিলম্ব অন্যদিকে লাশের ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। একই সময়ে একজন চিকিৎসক দুই স্থানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা লাশের ময়নাতদন্ত করবেন। কিন্তু এই নিয়মের কোন বালাই নেই। যশোর মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক বিভাগ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক সংকটের কারণে লাশের ময়নাতদন্ত করানো হচ্ছে ইমাজেন্সি মেডিকেল অফিসার দিয়ে।

    এই বিষয়ে সদ্য বদলিকৃত সহকারী অধ্যাপক ডা. বাবুল কিশোর বিশ্বাস মুঠোফোনে জানান, যমেকের ফরেনসিক বিভাগে বরাবরই শিক্ষক সংকট। সংকটের মধ্যে থেকে বিভাগটি অনেক কষ্ট করে পরিচালনা করা হতো। তারা ৪ জনে মিলে ৫৬ শিক্ষার্থীর পাঠদান করাতেন। তিনি বদলি হয়ে আসার পর তিনজন প্রভাষককে অতিরিক্ত চাপ নিতে হচ্ছে।

    যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবু হাসনাত মো. আহসান হাবীব জানান, ‘সংকটের মধ্য দিয়ে ফরেনসিক বিভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে হাঁপিয়ে উঠছেন প্রভাষকরা। অধ্যাপক- সহযোগী অধ্যাপক না থাকার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সংকটের বিষয়টি মন্ত্রনালয়কে জানানো হয়েছে।’

    এসএম

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…