এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আনোয়ারার কান্দুরিয়া খাল এখন বিপজ্জনক মেডিকেল বর্জ্যের ভাগাড়

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

    আনোয়ারার কান্দুরিয়া খাল এখন বিপজ্জনক মেডিকেল বর্জ্যের ভাগাড়

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

    স্বাস্থ্যবিধি ও পরিবেশ আইনের চরম লঙ্ঘন করে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রগুলো নির্বিচারে চিকিৎসাবর্জ্য ফেলছে খালে। চাতরী ইউনিয়নের কান্দুরিয়া খাল এখন পরিণত হয়েছে বিপজ্জনক মেডিকেল বর্জ্যের ভাগাড়ে। এতে এলাকায় তৈরি হয়েছে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যঝুঁকি।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কালাবিবি দীঘির মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগেরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কিংবা বর্জ্য বিনষ্ট করার ন্যূনতম ব্যবস্থা।

    অথচ প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ রোগনির্ণয় বর্জ্য, ব্যবহৃত ব্যান্ডেজ, রক্তমাখা তুলো, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, কাচের বোতল, প্যাথলজির নমুনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রাতের আঁধারে এসে ফেলা হচ্ছে খালে।

    শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে কান্দুরিয়া খাল এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, খালের পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে রক্তমাখা ব্যান্ডেজ ও সিরিঞ্জের মতো ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসাবর্জ্য। কোথাও পচাগলা বিবর্ণ স্তূপ, কোথাও আবার ভাঙা কাচের বোতল ও প্যাথলজির নমুনা ছড়িয়ে রয়েছে। বর্ষার পানির ঢলে এসব বর্জ্য পৌঁছে যাচ্ছে কৃষিজমি ও আশপাশের জলাশয়ে। এতে বাড়ছে জীবাণু সংক্রমণ, পানিদূষণ ও রোগবিস্তারের আশঙ্কা।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের আঁধারে বিভিন্ন ক্লিনিকের লোকজন বড় বস্তায় এসব বর্জ্য খালে ফেলে যায়। বহুবার প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা।

    বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা বলেন, “চিকিৎসাবর্জ্য খালে ফেলা ভয়ংকর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও দণ্ডনীয় অপরাধ। দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি দুর্বল ছিল বলেই মনে করেন সচেতন স্থানীয়রা।

    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনোয়ারা হলি হেলথ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. জামিল উদ্দিন চৌধুরী সময়ের কন্ঠস্বর-কে বলেন, “আমি ব্যস্ত আছি। এটা এক কথায় উত্তর দেওয়ার মতো বিষয় নয়। প্রশাসন ও থানা থেকে সতর্কবার্তা পাওয়ার পর আমরা বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলছি। সম্ভব হলে সরেজমিনে দেখে যেতে পারেন।”

    স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারির পর হঠাৎ দায়িত্বশীলতার দাবি করা প্রতিষ্ঠানটির বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা খালেই স্পষ্ট।

    এ বিষয়ে উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে এক বার্তায় বলেন, “এটি খুবই বিপজ্জনক। জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। এখন যেহেতু জেনেছি, বিষয়টি দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেব।”

    একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও চাতরী ইউনিয়নের প্রশাসক তাহমিনা আক্তার সময়ের কন্ঠস্বর-কে বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসাবর্জ্য খালে ফেলা মারাত্মক অপরাধ এবং পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত বিপজ্জনক। খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…