ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধরে দিলিপ চন্দ্র বর্মন (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি ৩ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার(২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হোদা। এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দিলিপ চন্দ্র বর্মন। তিনি উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের নাউরিয়া পাড়া গ্রামের ফাজেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে।
গ্রেপ্তার হওয়া নারীরা হলেন—নয়া (৪০), বালা (৩৫) ও সুবর্ণা (৪২)। তারা সবাই নাউরিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, চাড়োল ইউনিয়নের নাউরিয়া পাড়া গ্রামের ফাজেন চন্দ্র বর্মন গং এবং একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য দিগেন চন্দ্র গং-এর লোকজনের সঙ্গে ৩৩ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলাও চলমান রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে আলু রোপণ করছিলেন ফাজেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে দিলিপ চন্দ্র বর্মন। সেখান থেকেই বিরোধীয় জমির দলিল দেখানোর কথা বলে সাবেক ইউপি সদস্য দিগেনের বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয় তাকে। দিলিপ দলিল দেখতে গেলে সেখানে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাবেক ইউপি সদস্য দিগেন চন্দ্র ও তার লোকজনের মারধরে গুরুতর আহত হন তিনি।
খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল এবং রাতে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করেন। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দিলিপ চন্দ্র বর্মন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ধুরেশ চন্দ্র জানান, জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব দুই পক্ষই একই বংশের। বিরোধও চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ কারণে প্রায় সময়ই গ্রামে অশান্তি বিরাজ করত। এবার প্রাণও দিতে হলো দিলিপকে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হোদা জানান, এ ঘটনায় দিলিপের বাবা বাদী হয়ে শনিবার বিকালে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ৩ নারীকে আটক করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই সাবেক ইউপি সদস্য দিগেন চন্দ্র ও তার লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মরদেহ রংপুর মেডিকেল থেকে বাসায় আনা হয়নি।
এনআই