এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    খানসামায় রাতের অন্ধকারে সার পাচার: ডিলারের দৌরাত্ম্যে বিপর্যস্ত কৃষক

    ফারুক আহম্মেদ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
    ফারুক আহম্মেদ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম

    খানসামায় রাতের অন্ধকারে সার পাচার: ডিলারের দৌরাত্ম্যে বিপর্যস্ত কৃষক

    ফারুক আহম্মেদ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম

    দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সারের কৃত্রিম সংকটের মধ্যেই রাতের আঁধারে খুচরা দোকানে সার পাচারের অভিযোগ উঠেছে পাকেরহাটের সারের ডিলার মেসার্স মহাদেব চন্দ্র চন্দ-এর মালিক মহিতোষ চন্দ্রের বিরুদ্ধে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা ছাড়াই সার পাঠানো এবং কৃষকদের হয়রানির এই চিত্র উঠে এসেছে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অনুসন্ধানে।

    কয়েকদিন ধরে উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা অভিযোগ জানাচ্ছিলেন, ডিলারের দোকানে গেলে সার পাওয়া যায় না, অজুহাত দেখানো হয় সংকটের। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, কখনও সার পাওয়া গেলেও বাড়তি দাম নেওয়া হয়। কৃষকরা যখন দিশেহারা হয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে সাহায্য চান, তখনই বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে সংবাদকর্মীরা।

    এরই অংশ হিসেবে শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাকেরহাটের বাইপাস সড়কে অনুসন্ধান চালায় কয়েকজন সংবাদকর্মী। এসময় তারা তিনটি ভ্যানে করে খুচরা দোকানে সার পাঠানোর সময় ভ্যানগুলো আটক করেন। ভ্যানচালকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা সার পরিবহনের কোনো সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সন্দেহ আরও ঘনীভূত হলে সংবাদকর্মীরা ভ্যান চালকদের বিষয়টি ডিলার মহিতোষ চন্দ্রকে জানানোর জন্য বলেন।

    কিন্তু অভিযোগ আমলে নেওয়ার বদলে মহিতোষ চন্দ্র স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করেন, ভয়ভীতি দেখান এবং উদ্ভট পরিস্থিতি তৈরি করেন। একপর্যায়ে কৌশলে আটক করা সারবোঝাই ভ্যানগুলো নির্দিষ্ট খুচরা দোকানে সরিয়ে নেওয়া হয়। সংবাদকর্মীরা বারবার শান্ত ভাষায় কথা বলতে চাইলে তিনি তা উপেক্ষা করে উত্তেজনাকর আচরণ অব্যাহত রাখেন।

    স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলাম, আইজুল ইসলাম ও ওমর আলী জানান, "আমরা ডিলারের দোকানে গেলে বলে সার নাই। আবার যখন পাওয়া যায়, তখন বেশি দাম দিতে হয়। অথচ রাতের অন্ধকারে সার খুচরা দোকানে পাচার হয়ে যাচ্ছে—এসব দেখার কেউ নেই।"

    এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি ডিলারকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে—খুচরা কোনো দোকানে সার দিলে অবশ্যই রশিদ প্রদান করতে হবে এবং কোন অবস্থাতেই অন্যত্র সার পাচার করা যাবে না।"

    সংবাদকর্মীদের সঙ্গে ডিলারের খারাপ আচরণের বিষয়ে তিনি বলেন, "এটা আপনাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। সাংবাদিকদের এখতিয়ার আছে এসব অনিয়ম মনিটরিং করার। আজকের ঘটনাটি আমি আমলে নিয়েছি, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…