বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
তারা হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে তাঁর চিকিৎসা ও শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার বাজিতপুরে জামিয়া মাহমুদিয়া আরাবিয়া মদীনাতুল উলূম মাদ্রাসায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
এছাড়া বিকেলে শহরের কাগমারী সরকারি মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি মতবিনিময় সভায়ও খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে কয়েকদিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত রবিবার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখতে বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা হাসপাতালে যাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গত তিন দিন ধরে প্রায় একই রয়েছে। বুধবার থেকে তিনি তেমন সাড়া দিচ্ছিলেন না। তবে শনিবার তিনি দু-একটি কথা বলেছেন।
চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়ার কিডনির কার্যক্ষমতা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে এবং নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে তাঁর সর্বশেষ ডায়ালাইসিস সম্পন্ন হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি না এলেও কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা গেছে।
দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও চিকিৎসকদের মতে, বর্তমান শারীরিক অবস্থায় সেই ভ্রমণের ধকল তিনি সামলাতে পারবেন না। মেডিকেল বোর্ড অনুমোদন দিলে দ্রুত তাঁকে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চিকিৎসকদের মতে, আগামী কয়েকটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তাঁর কিডনির কার্যক্ষমতায় স্থিতিশীলতা না এলে স্থায়ী উন্নতি কঠিন হবে।
এসকে/আরআই