এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আজ পলাশকান্দা ট্র্যাজেডি দিবস

    হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১২ এএম
    হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১২ এএম

    আজ পলাশকান্দা ট্র্যাজেডি দিবস

    হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১২ এএম

    আজ (৩০ নভেম্বর) পলাশ কান্দা ট্র্যাজেডি দিবস। ১৯৭১ এর এই দিনে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে এক সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ, মনজু, মতি ও জসিম। প্রতি বছর এই দিনটি গৌরীপুর শহীদ দিবস বা পলাশকান্দা ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চাঁদের হাট ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

    ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাস। গৌরীপুর সহ সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় পাক হানাদার বাহিনী তখন দিশেহারা। এ সময় মুজিব বাহিনীর একটি গেরিলা দল গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জের সীমান্তবর্তী গ্রাম পলাশকান্দায় অবস্থান নেয়। মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মো. মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই দলে ছিলেন মো. তমিজ উদ্দিন, আনোয়ারুল হক খায়ের, আ. জলিল, নুরুল আমীন, আ. সাত্তার, এ কে এম নজরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আনোয়ারুল ইসলাম মনজু, সিরাজুল ইসলাম, মোখলেছৃুর রহমান চাকদার, মতিউর রহমানসহ ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা।

    পলাশকান্দায় অবস্থানরত মুজিব বাহিনীর গেরিলা দলের উদ্দ্যেশ্য ছিল ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী পাক হানাদার বাহিনীর কনভয় ও ক্যাম্পের উপর হামলা করা। কিন্তু একই গ্রামের অধিবাসী রাজাকার মজিদ মাষ্টার মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা দলের অবস্থানের খবর অত্যন্ত সুকৌশলে পৌঁছে দেয় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে। সঙ্গে সঙ্গেই পাক হানাদার, রাজাকার ও আলবদরের সম্মিলিত বাহিনী পলাশকান্দায় মুজিব বাহিনীর ক্যাম্পের দিকে অগ্রসর হয়।

    এসময় মুজিব বাহিনীর দলটি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঈশ্বরগঞ্জের মাইজকা হানাদার ক্যাম্প আক্রমনের জন্য রওয়ানা হবার কথা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে হানাদার বাহিনী তিনদিকে ঘিরে ফেলে এবং বৃষ্টির মত গুলি ছুঁড়তে থাকে। কমান্ডার মুজিবুর রহমান ও পাল্টা গুলি ছোঁড়ার আদেশ দেন। আকস্মিকভাবে আক্রান্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এসময় দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোললেও পাক বাহিনীর ভারী অস্ত্রের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেই সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় জসিম উদ্দিন হানাদার বাহিনীর ব্রাশ ফায়ারে শহীদ হন।

    এ সময় হানাদারের হাতে আহত অবস্থায় ধরা পড়ে আনোয়ারুল ইসলাম মনজু, মতিউর রহমান ও সিরাজুল ইসলাম। জানা যায়, ধরাপড়া তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে হানাদার ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে পরে ব্রহ্মপুত্রের নদীর চরে তাদের চোখ বেয়নট দিয়ে খুচিয়ে উপরে ফেলে পরে হত্যা করে। পরদিন ১ডিসেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনকে পলাশকান্দায় সমাহিত করা হয় ও প্রচন্ড ক্ষোভে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার মজিদ মাষ্টারের কান কেটে দেয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান চাকদার মারাত্মক আহত হন।

    শহীদের স্মৃতি চির অম্লান করে রাখার জন্য স্বাধীনতার পর গৌরীপুর পৌর শহরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল শহীদ সিরাজ-মঞ্জু স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর শহীদের স্মৃতিকে মুছে ফেলে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে গৌরীপুর পৌর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়। নাম পরির্বতনের কারন আজও জানা যায়নি।

    পলাশকান্দায় নবপ্রজন্মের মাঝে তাঁদের ইতিহাস পৌঁছে দিতে বিগত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৌমেন্দ্র কিশোর মজুমদার শহীদের স্মৃতিতে স্মৃতিফলক নির্মাণ করেন। প্রতিবছর এই ফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শহীদ জসীমের করব জিয়ারতসহ নানা কর্মসূচীও পালিত হয়।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…