দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শীতের তীব্র বাড়ছে। ভোর থেকে শিশির ঝরা আর সকালে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো গ্রামীণ আবহ। সূর্যের আলোক ছটা আর দুর্বাঘাসে জমাট বাঁধা মুক্ত দানা সিগ্ধ সকাল জানান দিচ্ছে হেমন্তকাল। এমন অপূর্ব দৃশ্য হিমালয়ের কাছাকাছি সীমান্তঘেষা ফুলবাড়ীর জনপদ।
ভোর থেকে টুপটাপ শব্দে ঝরছে শিশির বিন্দু আর দুর্বাঘাসে ডগায় মুক্তো দানার মতো জ্বল জ্বল করছে শিশির। শিশির বিন্দু যেন প্রকৃতির জমিনে টিপ পরিয়ে দিয়েছে। ভোর থেকে সকাল কুয়াশার আবহের গ্রামাঞ্চলের পথ-ঘাট। পাখির কলকাকলী আর সোনা মাখা রোদ যেন বলে দিচ্ছে হেমন্তের বার্তা।
হেমন্তের হাত ধরেই আসছে শীত। তাই প্রকৃতিতেও ফুটে উঠেছে নানা বৈচিত্র। নানা রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে এক অপরূপ সৌন্দর্যে। হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে দিন যতই যাচ্ছে ততই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা শঙ্কায় পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষকে। তবুও ঘনকুয়াশার মাঝেও শীতের সকালে কৃষকরা ফসলের মাঠে মাঠে কর্ম ব্যস্ততায় পাড় করছেন। শীতে অসহায়, দুঃস্থ মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, সে জন্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের দাবি স্থানীয়দের।
কুরুষাফেরুষা এলাকার কৃষক কবির হোসেন ও সাইদুল ইসলাম জানান, যতই শীত ও ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ুক না কেন আমাদের কাজ করায় লাগবে। তবে দিন যতই যাচ্ছে ততই ঘনকুয়াশা ও ঠান্ডা বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬ টায় কুড়িগ্রাম জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও জানান গত দুই সপ্তাহ ধরে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪, ১৫ ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। তবে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের পর ঘনকুয়াশা ও ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এসআর