এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    লাইফস্টাইল

    সকালের নাশতা না করে যেসব বিপদ ডেকে আনছেন

    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ এএম

    সকালের নাশতা না করে যেসব বিপদ ডেকে আনছেন

    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
    সংগৃহীত

    সকালের নাস্তা না খাওয়া অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ দেরিতে ঘুমাতে যাওয়ার কারণে ব্রেকফাস্ট বাদ দেন, আবার কেউ কেউ কাজে, বাচ্চাদের বা ঘরের কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে খিদে না লাগা পর্যন্ত খাবার খান না। কিন্তু সকালের প্রথম খাবার বাদ দেওয়া দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। শরীরে শক্তির জোগান, হরমোনের ভারসাম্য, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, মেটাবলিজম- এ সবই ব্রেকফাস্টের ওপর নির্ভর করে। তাই নিয়মিত ব্রেকফাস্ট না খেলে যে ক্ষতিগুলো ঘটে, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    সকালের নাস্তা না খাওয়ার ফলে শরীরে কী ক্ষতি হয়, তা নিচে আলোচনা করা হলো:

    ১. শক্তির যোগান ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ

    শক্তির ঘাটতি পূরণ : রাতে ঘুমের পর শরীর ক্ষুধার্ত থাকে। ব্রেকফাস্ট সেই শক্তির অভাব পূরণ করে এবং শরীরকে দিনের জন্য প্রস্তুত করে।

    রক্তের শর্করা ঠিক রাখা : ব্রেকফাস্ট না খেলে রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়, ফলে মাথা ঝিমঝিম, দুর্বল লাগা, মেজাজ খারাপ ও মনোযোগ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

    অতিরিক্ত খাওয়া রোধ : ব্রেকফাস্ট না করলে ক্ষুধাজনিত হরমোন ‘গ্রেলিন’ খুব বেড়ে যায়। ফলে দুপুরে বেশি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে, যা ওজন কমাতে সাহায্য না করে উল্টে বাড়িয়ে দেয়।

    ২. মেটাবলিজমের (হজম প্রক্রিয়া) ক্ষতি

    ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে শরীর শক্তি খরচের হার কমিয়ে দেয় (এনার্জি কনজারভেশন মোড)। ফলে দিনের বাকি সময়ে ক্যালোরি কম পোড়ে। যারা ওজন কমাতে চান, তারা ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে পেটের মেদ বাড়ে এবং মেটাবলিক সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়ে।

    ৩. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

    মস্তিষ্কের প্রধান খাবার গ্লুকোজ। ব্রেকফাস্ট না খেলে ব্রেন পর্যাপ্ত গ্লুকোজ পায় না। এর ফলস্বরূপ মনোযোগ কমে যাওয়া, ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা এবং সারাদিন ক্লান্ত লাগার মতো লক্ষণ দেখা যায়। পড়াশোনা বা মস্তিষ্কনির্ভর কাজের জন্য ব্রেকফাস্ট অত্যন্ত জরুরি।

    ৪. হৃদরোগ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি

    নিয়মিত ব্রেকফাস্ট না করা লোকেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সমস্যা বেশি দেখা যায়, যা হৃদরোগের মূল কারণ। খাবার না খেলে হরমোনের কাজে ব্যাঘাত ঘটে এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।

    ৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

    সকালে খাবার না খেলে শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কম পৌঁছায়। এতে রোগ-প্রতিরোধী কোষগুলোর ক্ষমতা কমে যায়, ফলে সংক্রমণ, সর্দি-কাশি ও সাধারণ অসুস্থতা বাড়তে থাকে। নিয়মিত ব্রেকফাস্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

    ৬. সারাদিনের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ

    যারা সকালে নাস্তা করেন না, তারা পরে দ্রুত শক্তির জন্য অতিরিক্ত চিনি, তেল বা কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের দিকে ঝোঁকেন। এতে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ হয় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

    ৭. বায়োলজিক্যাল ক্লক নিয়ন্ত্রণ

    সকালের নাস্তা শরীরের দৈনন্দিন রুটিন বা বায়োলজিক্যাল ক্লককে নিয়ন্ত্রণ করে। ডিম, ওটস, ফল বা দইয়ের মতো সুষম ব্রেকফাস্ট প্রতিদিন খেলে মানুষ সারাদিন বেশি সক্রিয়, মানসিকভাবে স্থির থাকেন এবং জীবনের মান উন্নত হয়।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…