চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিল স্থানীয়রা।
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত ব্লকেড কর্মসূচির কারণে মহাসড়কজুড়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে “মরণফাঁদ মহাসড়ক” নামে পরিচিত এই পথে প্রতিদিনের দুর্ঘটনা, যানজট ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরাও এক কাতারে দাঁড়ান।
আন্দোলনকারীরা বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান এই তিন জেলার কোটি মানুষের জীবনরেখা এই সড়ক। অথচ অব্যাহত দেরি, অনুমোদন জটিলতা ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে উন্নয়ন এগোচ্ছে না।
বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষে তামিম মির্জা সাংবাদিকদের জানান, উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীর অনুরোধে ১৫ দিনের জন্য ব্লকেড স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে দৃশ্যমান সিদ্ধান্ত হবে। তাই জনগণের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করেছি। কিন্তু দাবির বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। সময়মতো সাড়া না পেলে লাগাতার কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
ব্লকেড প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার পর আন্দোলনকারীরা ধীরে ধীরে মহাসড়ক থেকে সরে যান। প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর কেরানীহাট এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রশাসনের অনুরোধে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেছেন। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এসআর