যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে ফেলে যাওয়া অজ্ঞাত যুবকের (৩৫) লাশের পরিচয় মেলেনি। ফলে রোববার আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি।
হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মনির হোসেন জানান, ২৭ নভেম্বর জরুরি বিভাগের পকেট গেটের সামনে অজ্ঞাত ওই যুবকের লাশ পড়ে ছিল। রিকশা চালকসহ দুইজন সেখানে লাশটি ফেলে রেখে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও উপস্থিত লোকজন লাশটি উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। দায়িত্বরত ডাক্তার রাহুল কুমার ঘোষ লাশটি মর্গে পাঠিয়ে দেয়। মৃত যুবকের সমস্ত শরীর ভেজা। গায়ে একটি আকাশী রঙের টি-শার্ট ও পরণের লুঙি ছিল।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু হাসনাত জানান, লাশ উদ্ধারের রাতেই পিবিআই ফিঙ্গারপ্রিন্টের পরীক্ষা করে নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করে। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করেনি। ফলে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যাকান্ড আসলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফএস