পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ম তাপমাত্রাতেও রৌদ্রজ্বল সকালের দেখা মিলেছে। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা নেমে আসে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। সকাল ৯টায় তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। যা সারা দেশের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা।
রবিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রবিবার বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা আগের দিন ছিল ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
সকালে হালকা কুয়াশা চোখে পড়ে। ৮টার মধ্যে রোদ উঠতে শুরু করে, গতকাল একই সময়ে জেলার অনেক জায়গায় রোদ দেখা যায়নি। বিকেলে হালকা হিমেল বাতাস বইলেও দিনের বেলা আবহাওয়া তুলনামূলক উষ্ণ ছিল। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়।
শীতের প্রকোপে স্থানীয় মানুষদের দৈনন্দিন কাজকর্ম প্রভাবিত হচ্ছে। নদী ও মাঠে শ্রমিকদের ভোরের দিকে হাত-পা জমে আসে, বাঁচার তাগিদে তারা ঠাণ্ডা পানিতে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। ভোরের ঠাণ্ডায় ঘরের কাজ করতে গিয়ে গৃহিণীদেরও অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রান্নাঘরে পানি ঠাণ্ডা থাকায় হাত জমে আসে, দীর্ঘ সময় চুলার পাশে থাকতে হচ্ছে। যদিও রোদের উপস্থিতিতে এই ভোগান্তি কমে আসে।
শীতের কারণে শিশু ও প্রবীণদের সমস্যা আরও বেড়েছে। ভোরের সময় হালকা সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং গা জড়সড় ভাব দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে হাঁপানি ও শ্বাসজনিত সমস্যায় ভোগা প্রবীণদের জন্য এই আবহাওয়া আরও কষ্টদায়ক।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এই পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টা কমতে শুরু করছে এবং সকালের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। চলতি মাসে শৈত প্রবাহ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসআর