গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কার্যনির্বাহী প্রতিনিধি মো. মেহেদী হাসান (২২) ক্যাম্পাসে মারধরের শিকার হয়েছেন। তার ভাষ্য, গায়ে চাঁদর ও মুখে মাষ্ক পরিহিত ৭-৮ জনের দুর্বৃত্তের দল তাকে মারধর করে। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মো. মেহেদী হাসান গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। তবে মারধরকারী কাউকেই ভুক্তভোগী চিনতে পারেননি।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে গকসুর অভিষেক অনুষ্ঠান চলছিল। মেহেদি হাসান সম্প্রতি র্যাগিংয়ের অভিযোগের প্রমাণ মেলায় বহিষ্কৃত হওয়ায় এ অভিষেক অনুষ্ঠানের আওতার বাইরে ছিলেন। তবে রাতের দিকে তিনি ক্যাম্পাসে আসেন। ঘটনার আগে তিনি ক্যাম্পাসের টেনিস কোর্টের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় অতর্কিতে চাঁদর ও মুখে মাস্ক পরিহিত ৭-৮ জন এসে তাকে মারধর শুরু করে। কয়েক মিনিট মারধরের পর তারা পালিয়ে যায়। এতে তিনি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। ঘটনার পরপরই গকসুর নেতৃবৃন্দ ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে তাকে দেখতে আসেন। পরে গকসুর নেতৃবৃন্দ তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি রাতে মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন ৭-৮ জন মুখে মাস্ক ও চাঁদর পরিহিত অবস্থায় এসে আমাকে মারতে শুরু করে। আমাকে ফেলে লাথি ও কিল-ঘুষি দেয়। প্রায় ২-৩ মিনিট পর তারা আমাকে ছেড়ে যায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি চিকিৎসক ডা. জোবায়ের বলেন, ‘রাতে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার পিঠে দুই জায়গায় ছিলে যাওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ আঘাত রয়েছে কিনা সেটি কোনো পরীক্ষার আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।’
গকসুর ভিপি মৃদুল দেওয়ান বলেন, ‘অভিষেক অনুষ্ঠানের শেষ মুহুর্তে ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেলে নেওয়া হচ্ছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’ তবে এ বিষয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইখা