দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এরই মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে টুর্নামেন্টের ১২তম আসরের খেলোয়াড়দের নিলাম। যেখানে অংশগ্রহণকারী ৬ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়েছে।
এবারের বিপিএলের নবাগত দল নোয়াখালী এক্সপ্রেস। শেষ মুহূর্তে তাদের যোগ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নিলাম থেকে এবং নিলামের আগে সরাসরি চুক্তিতে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে দলটি। ফলে আলোচনা এই আলোচনা এখন সর্বত্রই যে, অভিষেক আসরে দলটির নেতৃত্ব দেবেন কে?
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে নোয়াখালীর প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘আমি চাই যে সৌম্য (সরকার) ক্যাপ্টেন্সি করুক। যদি ও করতে চায়। কারণ অনেক সময় প্লেয়াররা করতে চায় না, কারণ প্রেসার নিতে চায় না বাড়তি একটা। যে করতে চায় তো আমি সৌম্য’র কথা চিন্তা করি।’
নিলামের আগেই সৌম্যর পাশাপাশি লোকাল হাসান মাহমুদ এবং বিদেশিদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লসকে সরাসরি চুক্তিতে দলে নেয় নোয়াখালী। দলে অভিজ্ঞ অনেকে থাকলেও কেন সৌম্যকে অধিনায়ক হিসেবে চান সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সুজন।
তিনি বলেন, ‘আমি লোকাল ছেলের প্রতি ইন্টারেস্টেড। কারণ আমার মনে হয় লোকাল ছেলেরা আমার জন্য ভালো হবে। কারণ কুশল দেখবেন চার ম্যাচ পর খেলে চলে যাবে, তখন আরেকটা নতুন ক্যাপ্টেন দিতে হবে। এটা আমি চাই না। আমি চাই একটা লম্বা (সময়) ক্যাপ্টেন্সি করলে ইজি হবে টিমের জন্য।’
সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ এ দল। সেখানে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ঝলক দেখানো হাবিবুর রহমান সোহানকে কিনে নিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তাকে নিজের পছন্দের ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিতে চান বলে জানালেন দলটির কোচ।
সুজন আরও বলেন, ‘সোহান হলো পকেট ডায়নামো, মারবেই খালি। চার্লস, সৌম্য, কুশল তারা বেশ অভিজ্ঞ। তারা বিল্ড আপ করবে, খেলা এগিয়ে নেবে। এদের একটা প্রেসার থাকবে না? তো আমি সোহানকে কোনো প্রেসার দিতে চাই না। সৌম্য যাতে এদের ব্যাটিং ইজি করে দেয়।’
২০২৬ বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের স্কোয়াড-
সরাসরি চুক্তি : হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস
নিলাম থেকে : জাকের আলি অনিক (৩৫ লাখ), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩৫ লাখ), হাবিবুর রহমান সোহান (৫০ লাখ), নাজমুল ইসলাম অপু (১৮ লাখ), আবু হাশিম (১৮ লাখ), মুশফিক হাসান (১৮ লাখ), শাহাদাত হোসেন দিপু (১৮ লাখ), রেজাউর রহমান রাজা (১৮ লাখ), মেহেদি হাসান রানা (১৪ লাখ), সৈকত আলী (১৪ লাখ), সাব্বির হোসেন (১৪ লাখ), ইহসানউল্লাহ (২৮ হাজার ডলার), হায়দার আলি (২৫ হাজার ডলার)।
আরডি