সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে সাবিনা খাতুন (৪০) নামের এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, এসময় ৬ বছর বয়সী তার ছেলে আহত হয়েছে।
নিহত সাবিনা খাতুন উপজেলার বলদীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা, তিনি কায়েমপুর ইউনিয়নের চিনাধুকুরিয়া গ্রামের মোঃ সোলায়মান হোসেন সরকারের মেয়ে ও উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের আচলগাতী গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ হাসিলুর রহমানের স্ত্রী। তিনি ২ সন্তানের জননী, তারা উল্লাপাড়া পৌর শহরের শ্যামলীপাড়ায় বসবাস করতেন।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সোমবার সকাল আনুমানিক ৯টায় শিশু সন্তানকে নিয়ে অটোভ্যান যোগে স্কুলে যাওয়ার পথে আনসার মোড়ে পৌঁছালে একটি বালির ট্রাক পেছন থেকে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় শিক্ষিকা সাবিনা খাতুন ও তার ছেলে ট্রাকের নেচে পড়ে গেলে সাবিনা খাতুন তৎক্ষণাৎ তার ছেলেকে ধা্কাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় এবং নিজের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘাতক ট্রাকটি আটক করে এবং শিক্ষিকা সাবিনা খাতুনের লাশ বলদীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। স্কুল প্রাঙ্গণে সাবিনা খাতুনের লাশ পৌঁছলে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও সহকর্মী শিক্ষকরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়।
পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রী পার্শ্ববর্তী সড়ক অবরোধ করে শিক্ষিকা হত্যার বিচার দাবি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী ও গারাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে তাদের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর ছাত্রছাত্রী সড়ক অবরোধ ছেড়ে দেয়।
উল্লেখ্য, এই এলাকায় ইটভাটা ও বালুমহালের কাজের জন্য প্রায় শতাধিক ড্রাম ট্রাক মহাসড়ক ও পাড়া মহল্লা দিয়ে চলাচল করে। এসময় ট্রাকের চালকেরা বেশিরভাগই অদক্ষ ও শিশু কিশোর। এবং প্রায়ই দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী বলেন, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে তবে চালক ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। শিক্ষক সাবিনা খাতুনের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, পরিবার থেকে মামলা করলে আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
এসআর