নীলফামারীতে আকলিমা খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউদ্দিন মাহমুদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের কামারপুকুর কাঙ্গালু পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে মো. আনোয়ারুল হক (৩৫) এবং একই এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে ছামিউল ইসলাম শুভ (২৫)।
ঘটনার পেছনের কাহিনি
এজাহার সূত্রে জানা যায়, পার্বতীপুরের শরিফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ের পর পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকায় ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট আকলিমা অভিমান করে সৈয়দপুরের কিসামত কামারপুকুরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। কিছুদিন পর স্বামী পাঠানো তালাকনামা পেয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
২২ আগস্ট ভোরে আকলিমাকে ঘরে না পেয়ে পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে বাড়ির পাশের মৎস্য খামারের পেছনে একটি জমিতে বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশি তদন্তে উদ্ঘাটিত হয় যে, আকলিমাকে আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।
নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান রিনো জানান, ‘গৃহবধূ আকলিমা হত্যা মামলায় দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মোট ১৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ নিশ্চিত হওয়ায় আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
এসআর