এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

    এম ফেরদৌস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
    এম ফেরদৌস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

    উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

    এম ফেরদৌস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আবারও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ ঘটছে। মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে আশ্রয় দেওয়ার পরও দফায় দফায় নতুন রোহিঙ্গার আগমন অব্যাহত থাকায় সীমান্ত এলাকার স্থানীয়দের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। নতুন করে অনুপ্রবেশকারীদের একটি অংশ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

    সূত্র বলছে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভোর ০৬টা থেকে সকাল ০৮ টা পর্যন্ত উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে দালালচক্রের সহায়তায় নতুন করে ৭টি পরিবারের মোট ২৪ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা ও ১২ জন শিশু রয়েছে।

    তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প–১৩ এর জি/৩ ব্লক এবং ক্যাম্প–১৯ এর এ/১৬, বি/১৩ ও ৬ নম্বর ব্লকে অবস্থানরত তাদের নিকটাত্মীয়দের ঘরে আশ্রয় নিয়েছে বলেও জানা গেছে।

    স্থানীয়রা বলছেন, নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কথা বললেও এ নিয়ে কোনো অগ্রগতি নেয়। প্রতিনিয়তই রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ। এতে উখিয়া–টেকনাফের জনজীবন, নিরাপত্তা ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    সীমান্তের গণমাধ্যমকর্মী তারেকুর রহমান জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফ দখলে নিতে পারে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার প্রভাব আমাদেরকেই ভোগ করতে হচ্ছে। সেখানে সমস্যা দেখা দিলেই তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আমাদের বসতভিটায় অবস্থান নেয়। বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহল জানলেও এখনো কোনো সংস্থা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’

    তিনি আরও বলেন, শোনা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সম্ভবত এসব লোভের কারণেই তারা মিয়ানমার ছেড়ে আবারও এখানে প্রবেশ করছে। রাষ্ট্রীয় স্বার্থের বিষয়টি শুধু আমার নয়-সবারই বোঝা উচিত ছিল।

    পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ গফুর উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গারা শুধু ঢুকছে, কেউ ফিরে যাচ্ছে না। এতদিনে একজন রোহিঙ্গারও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের নজির নেই। কেউ গেলেও আবার ফিরে আসে।

    তিনি আরও জানান, এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব প্রতিনিয়তই স্থানীয় জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা ও সীমান্ত নিরাপত্তা আরও কঠোর করার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।

    কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের ১৩ ও ১৯ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) আল ইমরান বলেন, আজ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি আমিও শুনেছি এবং এ বিষয়ে মেসেজও পেয়েছি।

    তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নবাগত রোহিঙ্গারা ঠিক কোথায় অবস্থান করছে-তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, শিগগিরই সব তথ্য পাওয়া যাবে।

    আরডি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…