সাধারণত উপসাগরীয় দেশগুলোতে ডিসেম্বরে ছুটি শুরু হয়। এ সময় প্রচুর মানুষ উমরা পালনে সৌদি আরব যান। ফলে ডিসেম্বর মাসে মক্কা-মদিনায় হোটেল ভাড়া কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এবার হোটেল ভাড়া বেড়েছে ৪০ শতাংশ বেশি। অগ্রীম বুকিংয়ের চাহিদাও বেড়েছে।
হোটেল খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিসেম্বরের শুরু থেকে নভেম্বরের তুলনায় হারামাইন শরিফাইনের (মক্কা ও মদিনা) কেন্দ্রীয় এলাকার হোটেলের ভাড়া ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রধান কারণ উপসাগরীয় পরিবারগুলোর অগ্রিম বুকিং।
দুটি পবিত্র শহরে কেন্দ্রীয় এলাকার বাইরের হোটেলের দামও বেড়েছে, তবে নভেম্বর মাসের তুলনায় এই অনুপাত ১৫ থেকে ২০%।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে জাতীয় দিবস এবং স্কুল ছুটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হবে।’
‘উমরা ও হজপালনের উদ্দেশ্যে শত শত উপসাগরীয় নাগরিক এবং সেখানে বসবাসকারী প্রবাসীরা হোটেলগুলোতে অগ্রিম বুকিং করেছেন, যার ফলে হোটেলের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।’
উপসাগরীয় দেশগুলোতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের ছুটির সময়সূচি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে, দেশের পবিত্র দুই শহরের ১০০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ‘হোটেলের ভাড়া বৃদ্ধি এই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার পরে এটি ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে, তবে, উমরা মৌসুমে বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে, আবারও ভাড়া বৃদ্ধি পাবে।’
এদিকে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থানরত বেশ কয়েকজন হজ এজেন্সির মালিক বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, ‘এক মাস আগে মদিনার মারকাজিয়া এলাকায় ৩০০ রিয়াল ভাড়ায় করা হোটেল বুকিং ৬০০ রিয়াল দাবি করছে, না হলে বুকিং বাতিল করছে হোটেলগুলো। অন্যদিকে রুম থাকার পরও দিচ্ছে না, বেশি দাম ছাড়া। আর মক্কার অবস্থা তো আরও কঠিন, মিসফালা এলাকায় প্রচুর হোটেল ভেঙ্গে ফেলছে, তাই কাছের হোটেলে সংখ্যা কমে গেছে, এসব হোটেলের ভাড়া অনেক বেশি।’
এইচএ