সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেছেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে প্রবেশ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
এরপর নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। কয়েক মিনিট পর তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান।
আর সর্বশেষ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন হাসপাতালে প্রবেশ করেন।
খালেদা জিয়া বহু দিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।
এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। পরে তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
হাসপাতালের সামনে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের তথ্য জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন ডা. জাহিদ।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো গুজব না ছড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সবাই ধৈর্য ধরুন, কেউ গুজব ছড়াবেন না।’
ডা. জাহিদ জানান, আজ (২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসক দল আসবে, তারা যদি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তবে নেওয়া হবে।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এফএস