নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হকের বিরুদ্ধে সোলার সেচ প্রকল্পের কাজের নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সম্প্রতি কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক হাসান আলী।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিরুল ইসলাম।
কৃষক হাসান আলী বলেন, “আমার ফুপাতো ভাই আলাল মিয়ার নামে সোলার সেচ পাম্পের কাজ আসে। এরপর কৃষি অফিসে যোগাযোগ করি। তারপর ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল হক কাজের খরচের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকার মধ্যে কথামতো হাতে হাতে ৩০ হাজার টাকা এবং গত ১০ নভেম্বর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আরও ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য হই। পরে আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হলে এরপরই লিখিত অভিযোগ করি। আমি জানতে পারি, এই কাজ সরকারি এবং এর জন্য কোনো টাকা লাগে না। এজন্যই অভিযোগ করেছি।”
কৃষক আলাল মিয়া বলেন, “সরকারি কাজ কোনো টাকায় লাগে না। কিন্তু রায়হান স্যার ১ লাখ টাকা চেয়েছেন; এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। আমাদের টাকা ফেরত চাই।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ২ জুন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিপা বিশ্বাস ছুটিতে যান। সেই দায়িত্বভার অস্থায়ীভাবে গ্রহণ করেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল হক। তার দায়িত্ব পালনকালে এই ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে, যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তার দায়িত্বকাল শেষ হচ্ছে আজ ২ ডিসেম্বর।
অভিযোগের বিষয়ে রায়হানুল হক মোবাইল ফোনে জানান, “আমার বিরুদ্ধে এটা ষড়যন্ত্র। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আমার পক্ষে যাবে। অভিযুক্ত কৃষক ভুল স্বীকার করবে।”
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।”
এনআই