ডিসেম্বরের শুরুতেই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। তবে এখনো শীতের তীব্রতা সেভাবে অনুভূত হয়নি। সকালজুড়ে হালকা কুয়াশা থাকলেও মানুষের দৈনন্দিন কাজে বিশেষ বাধা দেখা যায়নি। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় তা ছিল ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গতকাল মঙ্গলবারও তাপমাত্রা ছিল প্রায় একই পর্যায়ে। সকাল ৬টায় ছিল ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা ছিল চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রা কমলেও এলাকায় এখনো শীতজনিত জবুথবু পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এইদিন বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা তার আগের দিন (সোমবার) ছিল ২৬ ডিগ্রী।
বুধবার সকালে কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলতে দেরি হয়। আজও সকাল ৮টার দিকে রোদ উঠলেও কুয়াশার স্তর ঘন থাকায় উত্তাপ কম অনুভূত হয়। গতকাল দুপুরে আবহাওয়া ছিল কিছুটা উষ্ণ, আর বিকেলে ছিল হালকা শীতল বাতাসের উপস্থিতি। রাতের বেলায় তাপমাত্রা সামান্য কমে এসে ঠাণ্ডা অনুভূতি বাড়িয়েছে।
ডিসেম্বরের শুরুতেই কুয়াশার উপস্থিতি বেশি থাকায় সূর্যের আলো ভালোভাবে পৌঁছতে পারে না কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফঢাকা চূড়ায়। তাই নভেম্বরে আকাশ পরিষ্কার থাকায় পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখা গেলেও ডিসেম্বরের শুরুতে কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলছে না। বলতে গেলে এই বছরের কাঞ্চনজঙ্ঘার শেষ দেখা মিলেছে নভেম্বরে শেষ দিনে।
শীতের কারণে সকালে নদী তীরের শ্রমিকদের কিছুটা অসুবিধা হলেও কার্যক্রম থেমে নেই। বালু-পাথর উত্তোলনকারীদের হাত-পা ঠাণ্ডায় হিম হয়ে আসলেও রোদ উঠলেই কাজের গতি স্বাভাবিক হয়। কৃষি শ্রমিকদেরও মাঠে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতে হালকা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও সামান্য কমতে পারে বলে জানান তিনি।
এসআর