লীগের দ্রুততম ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে আর্লিং হলান্ডের দরকার ছিল মাত্র ১ গোল। খেলার বয়স ২০ মিনিট হওয়ার আগেই রেকর্ডবুকে নাম লিখেয়ে ফেললেন এই নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন। আরও ২ গোলে সিটি প্রথমার্ধেই এগিয়ে গেল ৩ গোলে। এমিল স্মিথ রো এক গোল শোধ করলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও দুই গোল করে সিটি বড় জয়ের সুবাস পাচ্ছিল। কিন্তু ফুলহ্যামও এই অর্ধে ৩ গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ হাসি অবশ্য সিটিজেনদেরই।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ক্রাভেন কটেজে স্বাগতিক ফুলহ্যামকে রোমাঞ্চে ঠাঁসা ম্যাচে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। জোড়া গোল পেয়েছেন ফিল ফোডেন। আর্লিং হলান্ড ও তিজান্নি রেইন্ডার্স একটি করে গোল করেন। বাকি গোলটি ফুলহ্যামের সান্ডার বার্জের আত্মঘাতী।
স্বাগতিকদের পক্ষে সামুয়েল চুকওয়েজে জোড়া গোল করেন। বাকি গোল দুটি এমিল স্মিথ রো এবং অ্যালেক্স আইওবির।
এই জয়ে ১৪ ম্যাচ শেষে ৯ জয় ও ১ ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনালের সংগ্রহ ৩০ পয়েন্ট। ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে ফুলহ্যাম।
লিগে গত দুই ম্যাচে গোলের দেখা পাননি হলান্ড। এদিন গোলখরা কাটাতে বেশি সময় নেননি। ১৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে জেরেমি ডোকুর বাড়ানো পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় সিটিজেনদের এগিয়ে দেন হলান্ড। এটি প্রিমিয়ার লিগে এই নরওয়েজিয়ান তারকার শততম গোল।
১১১ ম্যাচে ১০০ গোল করে প্রিমিয়ার লিগে গোলের দ্রুততম সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড় বনে গেছেন হলান্ড। এই রেকর্ড এতদিন ছিল ইংলিশ গ্রেট অ্যালান শিয়েরারের দখলে। এবারের লিগে ১৪ ম্যাচে ১৫ গোল করলেন হলান্ড।
সিটির দ্বিতীয় গোলেও জড়িয়ে হলান্ডের নাম। প্রতিপক্ষের একাধিক খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে দারুণ থ্রু পাস বাড়ান এই নরওয়েজিয়ান। ডি-বক্সে সেই বল ধরে নিখুঁত চিপে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন ডাচ মিডফিল্ডার রেইন্ডার্স। ৪৪ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে ব্যবধান আরও বারান ফোডেন।
এই অর্ধের যোগ করা সময়ে স্মিথ রো'র গোলে ব্যবধান কমায় ফুলহ্যাম। দারুণ হেডে গোল করেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মাঠে গড়াতেই ব্যবধান আরও বাড়ায় সিটি। সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে ব্যাক হিলের আলতো টোকায় জালে পাঠিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফোডেন। শেষ দুই ম্যাচে ৪ গোল করলেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
৫৪ মিনিটে জেরেমি ডোকুর শট ফুলহ্যামের বার্জের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। এই আত্মঘাতী গোলের পরই খেলা নাটকীয় মোড় নেয়। ৫৭ মিনিটে অ্যালেক্স আইয়োবি গোল করে ব্যবধান কমান।
৭২ আর ৭৮ মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন চুকওয়েজে। শেষ দিকে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ করে স্বাগতিকরা। কিন্তু প্রবল চাপ সামলে জাল অক্ষত রাখে সফরকারীরা।
ইখা