কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের দড়ি মির্জানগর গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোররাতে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মজিবুর রহমানের গরুর খামার থেকে ফিজিয়ান জাতের পাঁচটি গরু চুরি হয়ে যায়। চুরি হওয়া গরুগুলোর মধ্যে রয়েছে দুইটি গাভী, দুইটি ষাড় ও একটি ছোট ষাড় বাছুর। এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় বারবার চুরি হওয়ায় গ্রামবাসী মিলে ছয়জন প্রহরী নিয়োগ করা হয়েছিল। তাদের দায়িত্ব ছিল রাত জেগে পুরো এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা রাত ২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে, আর সেই সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটে। প্রহরীরা হলেন-আবুল কালাম, আরফান, শান্ত, রোমান, মাহতাব ও ফজর মুন্সি।’
তিনি আরও বলেন, “আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। গৌরিপুর বাজারসহ আশপাশের সব বাজারে ঘুরে ঘুরে আমার গরুগুলো খুঁজছি। পুলিশ যদি নিয়মিত টহল দিত, তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে। কয়েক মাস আগেও এই গ্রামে গরু চুরি হয়েছিল। এসব ঠেকাতে গ্রামবাসী নিজেরাই প্রহরী রাখলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এমনকি পুলিশের কোনো কার্যকর ভূমিকা দেখা যায় না বলেও তাদের অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুব্ধ এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘থানা পুলিশ থেকে লাভ কী, যদি সাধারণ মানুষের জান–মালের নিরাপত্তাই নিশ্চিত না হয়? একের পর এক চুরি হলেও পুলিশের তেমন কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়ে না। আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন চুরি-ডাকাতি রোধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে তারা গিয়ে বাদিকে পাননি। জানতে পেরেছি তিনি গৌরীপুর বাজারে গরুর খোঁজে গিয়েছেন। বাদি থানায় এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইখা