এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ফিচার

    আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস আজ

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম

    আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস আজ

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    আজ ৩ ডিসেম্বর, ৩৪তম আন্তর্জাতিক এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিনটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’।

    দিনটি উপলক্ষ্যে মিরপুরের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ ও অসংগতিসম্পন্ন মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন এবং তাদের কাজের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সম্মান জানানোর জন্য দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর-২০২২ সালের তথ্য মতে, প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের সংখ্যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। প্রতিবন্ধিতা রুখে দেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ ও সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হলো প্যারেন্টিং এডুকেশন। এর মাধ্যমে মা-বাবাকে শিশুর যত্নে যথাযথভাবে সচেতন ও শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব।

    কর্মক্ষেত্রে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে প্রয়োজন অনুযায়ী এক্সেস, দক্ষতা ও জ্ঞান উন্নতি করে মূলধারায় আনতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বৈষম্য কমিয়ে এনে প্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০-এ বলা আছে, কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পূর্ণ অন্তর্ভুক্তি, অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব ছাড়া সামাজিক অগ্রগতি অসম্ভব।

    প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তিরা ক্রমাগত বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। দারিদ্র্যের উচ্চ ঝুঁকি, উপযুক্ত কাজের সীমিত সুযোগ এবং কম মজুরি, সামাজিক সুরক্ষার ঘাটতিসহ বিভিন্নভাবে তারা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। তাদের চলাফেরা বা যাতায়াতের সুবিধারও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাদের জন্য উপযুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সহায়ক পরিবহণ জরুরি হয়ে পড়েছে, যা অবশ্যই প্রতিবন্ধীবান্ধব হতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু বা ব্যক্তিদের জন্য অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ রয়েছে, যার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।

    যেকোনো মানুষের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় তার প্রাক- শৈশবকাল, অর্থাৎ শূন্য থেকে পাঁচ বছর। এ সময় একজন মানুষের মস্তিষ্কের ৯০ শতাংশ বিকাশ ঘটে। এ সময় সামান্যতম অবহেলা হতে পারে শিশুর জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ।

    প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধিতা বেশি। প্রতিবন্ধীর ২ দশমিক ৯২ শতাংশ গ্রাম বসবাস করে, ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ থাকে শহরে। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীর হার সর্বোচ্চ বলে জরিপে দেখা গেছে। ২ দশমিক ৮০ শতাংশের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীর হার ১ দশমিক ১৯ শতাংশ।

    অন্য ধরনের প্রতিবন্ধীর মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ, বাকপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৪ এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।

    প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মাত্র ২৭ দশমিক ২১ শতাংশ কাজে নিযুক্ত আছেন।

    এ ছাড়া সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হন প্রতিবন্ধীরা। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। এমনকি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) বিভিন্ন কর্মসূচি থেকেও তারা সেবা পাননি। অনেকে বঞ্চনা ও হয়রানির অভিযোগ করেন না। যারা করেছেন, তারাও সুবিচার পাননি।

    প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়ার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছে, এদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্তও পড়ালেখা করে না। আর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত যায় না ৭৫ শতাংশের বেশি।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…