সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে। সাম্প্রতিক হজ মৌসুমে তীব্র গরমের কারণে বহু মৃত্যুর ঘটনা ও বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নুসুক হজের অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্মে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হজে অংশগ্রহণকারীর বয়স অন্তত ১২ বছর হতে হবে।’ গত দুই হজ মৌসুমে মারাত্মক তাপদাহের কারণে বহু হাজি, বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধরা, গুরুতর সমস্যায় পড়েন।
মেডিকেল টিমের রিপোর্ট অনুযায়ী, উন্নত কুলিং সিস্টেম ও পানি সরবরাহ কেন্দ্র বাড়ানো সত্ত্বেও বহু হাজি হিটস্ট্রোক ও ক্লান্তিজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হন। হজের আনুষ্ঠানিকতায় দীর্ঘ পথ হাঁটার প্রয়োজন হয়, আর মক্কার তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে নিয়মিতই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে। এই চরম আবহাওয়াই ১২ বছরের নিচের শিশুদের জন্য হজ নিষিদ্ধের মূল কারণ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে অন্য আরেক প্রজ্ঞাপনে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের হজ পালনের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় দেশটি। এ বিষয়ে সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় হতে হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে একজন হজযাত্রী যেসসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না, তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
কোনো হজযাত্রীর শরীরের প্রধান অঙ্গসমূহ অকার্যকর হলে তিনি হজের অনুমতি পাবেন না। এর মধ্যে রয়েছে- ডায়ালাইসিস চলছে এমন কিডনি রোগ, গুরুতর হৃদরোগ, সবসময় অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এরূপ ফুসফুসের রোগ ও ভয়াবহ লিভার সিরোসিস।
এছাড়া গুরুতর স্নায়ুবিক কিংবা মানসিক রোগ, স্মৃতিভ্রষ্টতাসহ অতি বয়স্ক ব্যক্তি, শেষ প্রান্তিকের গর্ভাবস্থা ও যেকোনো স্তরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায়ও হজের অনুমতি মিলবে না।
সংক্রামক রোগ, যেমন- যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর এবং কেমোথেরাপি কিংবা অন্য কোনো নিবিড় ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন- এমন ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তিকেও হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার।
এইচএ