কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সড়কে গাছ কেটে ফেলে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অবরোধ কর্মসূচি পালনের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৩৯ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে জনকে আসামি করা হয়।
বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের হাপানিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিনের ছেলে মো. খুরশীদ আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা সদস্য মো. আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, পাকুন্দিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নরুজ্জামান বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. এখলাছ উদ্দীন, চরফরাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, সাংবাদিক মঞ্জরুল হক মঞ্জুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৩৯ জন নেতাকর্মী।
এজাহারে বলা হয়- গত ১৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে খুরশীদ আলম কিশোরগঞ্জ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফেরার সময় শ্রীরামদি এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেন। তারা মহাসড়কে গাছ ও লাকড়ি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, দলটির নেতাকর্মীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি, জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির উদ্দেশ্যে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। তারা ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দেন। পুলিশকে জানানো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তবে ততক্ষণে তারা পালিয়ে যায়।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ‘মামলার সব আসামি পলাতক। তবে তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে ‘
এসএম