চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে ৮টি ইটভাটার মালিককে ২২ লাখ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৯টি ইটভাটার চিমনিসহ কিলন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সারাদিন উপজেলার সুয়াবিল এবং হারুয়ালছড়ি এলাকায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান-উল-ইসলাম।
অভিযানে সুয়াবিল এলাকায় মেসার্স হালদা ব্রিকসের মালিক সাইফুদ্দিনকে ৪ লাখ টাকা,মেসার্স সিরাজ ব্রিকসের মালিক সিরাজুল ইসলামকে ৪ লাখ টাকা, মেসার্স আবুল কালাম ব্রিকসের মালিক মোঃ আইয়ুবকে ৪ লাখ টাকা, মেসার্স সিরাজ ব্রিকসের মালিক সিরাজুল ইসলামকে ৪ লাখ টাকা, মেসার্স এবিসি ব্রিকসের মালিক মোঃ আমিনুল হককে দেড় লাখ টাকা, মেসার্স একতা ব্রিকসের মালিক এস এম মহিউদ্দিনকে ২ লাখ টাকা, শাহজালাল ব্রিকসের মালিক মোঃ মহি উদ্দিনকে ১ লাখ টাকা, হাজী ইউনুছ ব্রিকসের মালিক মোঃ ইসমাইল হোসনকে দেড় লাখ টাকা এবং চিমনি ভেঙে জরিমানা, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে মেসার্স এন এস ব্রিকসের চিমনিসহ কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন,পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী ইফতেকার উদ্দিনসহ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম আনসার এবং ফটিকছড়ি থানার পুলিশ সদস্যরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হাটহাজারী স্টেশনের সদস্যরা।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান বলেন, ‘ফটিকছড়িতে অধিকাংশ ইটভাটা অবৈধ, এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।’
উল্লেখ্য, বিগত ১০ নভেম্বর ‘ফটিকছড়ির ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসএম