এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ৩

    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২০ পিএম
    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২০ পিএম

    অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ৩

    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২০ পিএম

    উত্তরা এলাকায় ভুয়া অফিস খুলে উচ্চ পদে চাকরি ও ঘড়ি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২ ডিসেম্বর রাজধানীর তাঁতিবাজার মোড়ের মালিটোলা পার্ক এলাকা থেকে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)।

    গ্রেপ্তাররা হলেন— সনজ সাহা ওরফে উজ্জ্বল চৌধুরী (৫৬), মোশারফ হোসেন (৬৪) ও মো. শাহজাহান (৪৬)।

    সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, ভুক্তভোগী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে অবসর নেওয়ার পর জনৈক আব্দুর রশিদ নামের ব্যক্তি তাকে ‘উচ্চ পদে নিয়োগের’ প্রলোভনে উত্তরা এলাকার একটি অফিসে ডেকে নেন। সেখানে বিসিজে (বাংলাদেশ-চায়না-জাপান) নামের একটি কথিত গ্রুপে মাসিক ২,৫০০ ডলার বেতনে পরিচালক পদে নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হয়।

    একই সাথে মো. আব্দুর রাজ্জাক ও আমিনুল ইসলাম নিজেদের ভারতীয় একটি কোম্পানির প্রতিনিধি ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে লাভজনক ঘড়ি কেনাবেচার ব্যবসার প্রস্তাব দেন। চাকরির পাশাপাশি ভারতীয় কোম্পানিতে ঘড়ি সরবরাহের বিনিময়ে অল্প সময়ে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখানো হয়। এভাবে ভুক্তভোগীকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করে একটি মৌখিক চুক্তিও করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছেন, ধাপে ধাপে মোট ৪৫ লাখ টাকা তারা প্রতারণার মাধ্যমে গ্রহণ করেন। ঘড়ি কিনে উচ্চমূল্যে ভারতীয় কোম্পানিতে বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা লাভ দেওয়ার কথাও ভুক্তভোগীকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল।

    কিন্তু টাকা নেওয়ার পর তারা জানান যে ঘড়ি সরবরাহ সম্ভব হয়নি এবং উল্টো আরও ১০ লাখ টাকা দিতে চাপ দিতে থাকে। এরপর ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন যে তিনি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়েছেন। বিষয়টি উপলব্ধি করে তিনি চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলা করেন।

    তদন্তে উঠে এসেছে চক্রটি মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের টার্গেট করে। প্রতিবার অপরাধ সংঘটনের সময় ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে এবং কাজ শেষে সেগুলো ধ্বংস করে ফেলে যাতে তাদের শনাক্ত করা না যায়।

    এ মামলার বাইরেও সনজ সাহা ওরফে উজ্জ্বল চৌধুরীর নামে ১৩টি, মোশারফ হোসেনের নামে ৩টি এবং শাহজাহানের নামে ২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই করা হচ্ছে।

    সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ ও রিমান্ড আবেদনের প্রস্তুতি চলছে।

    মামলার অগ্রগতি জানতে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে,তবে তাকে পাওয়া যায়নি।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…