গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। মার্কিন-মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি জারি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং এতে বারবারই লঙ্ঘিত হচ্ছে যুদ্ধবিরতি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েত ফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসক দল। হামলাটি গাজার উপকূলীয় আল-মাওয়াসি এলাকায় হয়েছে।
এদিকে মেডিক্যাল সূত্র জানায়, নিহতদের মধ্যে দুইজনকে গাজা সিটির উত্তরের জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে। বাকি পাঁচজন নিহত হয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে ইসরায়েলের আক্রমণে।
চিকিৎসকদের মতে, নিহতদের মধ্যে ৪৬ ও ৩০ বছর বয়সী দুই নারী, ৩৬ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং আট ও ১০ বছর বয়সী দুই শিশু রয়েছে। আহত অন্তত ৩২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা বিবিসিকে জানান, আল-নাজাত ক্যাম্প থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই তাঁবুশিবিরে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানায়, আল-মাওয়াসির বোমাবর্ষণে কয়েকটি তাবুতে আগুন ধরে যায় এবং সেগুলো পুড়ে যায়। এতে দুই শিশুসহ পাঁচজন নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কারো কারো অবস্থা গুরুতর।
এদিকে ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার খবরে বলা হয়েছে, কিছু আহত ব্যক্তি মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন। আল-মাওয়াসি হামলার নিন্দা জানিয়ে হামাস এটিকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, এই হামলা ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রমাণ করে। তারা মধ্যস্থতাকারী মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আহ্বান জানায়।
গাজার কর্তৃপক্ষের হিসাবে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ৫৯১ বার তা লঙ্ঘন করেছে, যাতে কমপক্ষে ৩৬০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯২২ জন আহত হয়েছেন।
এবি