আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী মোজা। মূলত জুতাকে আরামদায়ক ও ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে জুতা অথবা স্যান্ডেলের সঙ্গে মোজা পরা ফ্যাশনেও পরিণত হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো দরকারি এই কাপড়টির জন্য একটি দিবস বরাদ্দ আছে। প্রতি বছর ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় মোজা দিবস উদযাপন করা হয়। তাই প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারেন দরকারি এই কাপড়টি।
আমরা নিয়মিত মোজা ব্যবহার করলেও অনেকেই জানি না এর ইতিহাস। দিসবটির ইতিহাস সম্পর্কে গেলে বের হয়ে আসবে এই পোশাকটির ২ হাজার বছরের বেশি পুরনো ইতিহাসের কথা। তখন গুহাবাসীরা পা উষ্ণ রাখতে ছাগলের লোম থেকে এটি তৈরি করত। ধারণা করা হয়, সেই সময় হয়তো স্যান্ডেলের সঙ্গে মানুষ হয়ত পায়ে মোজাও পরতেন।
২০১৬ সালে মোজা দিবস চালু হয়। 'পেয়ার অব থিভস' নামেন এক পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এই দিবসটি চালু করেছিল বলে ডে'জ অব দ্য ইয়ারের আর্টিকেলে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য কেবল দিবসটি উদযাপন প্রচার করা নয়, সদিচ্ছার কথা প্রচার করা ও কিছু অভাবী মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিসটি উপহার দেওয়া। এই মহতী উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ন্যাশনাল ডেইজ ক্যালেন্ডারে ৪ ডিসেম্বর দিনটি জাতীয় মোজা দিবস হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
মোজার মাহাত্ম্যকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর ‘ন্যাশনাল সকস ডে’ বা জাতীয় মোজা দিবস পালন করা হয়।
দিবসটি উদযাপনের ভালো উপায় হলো এক জোড়া নতুন পছন্দের ডিজাইন ও রঙের মোজাটি মোজা কেনা। পাশাপাশি প্রিয়জন ও প্রয়োজন সম্পূর্ণ ব্যক্তিকে উপহার দেওয়াও হতে পারে দিবসটি উদযাপনের ভালো উপায়। এক জোড়া মোজা জুতা বিরক্তিকর না হয়ে হবে আরামদায়ক। এ জন্য বয়সভেদে কিনতে পারেন ডোরাকাটা, বল প্রিন্ট, কার্টুন, ফুল, জীবজন্তু ইত্যাদি নকশার মোজা। তরুণীদের বেশ পছন্দের ফিঙ্গার কাটিং করা স্কিন কালারের মোজা। জমকালো ভাব আনতে লেস দেওয়া মোজাও বেশ জনপ্রিয়।
আমরা ফুল, পারফিউম, চকলেটসহ নানা উপহার দিয়ে থাকি। নিজের জন্য না লাগলে অন্য কারো জন্য কিনুন, তারপর তাকে উপহার দিন। জীবনে তো অনেক কিছু উপহার দিয়েছেন, এবার এক জোড়া মোজা উপহার দিতে পারেন। এতে উপহারেও যেমন নতুনত্ব আসবে, আবার উপহার পাওয়া ব্যক্তির প্রয়োজনও মিটবে।
এইচএ