আজ ৪ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক ব্যাংক দিবস। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অর্থায়নসহ আরও নানা আর্থিক কাজে ব্যাংকের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এ দিবস ঘোষণা করা হয় জাতিসংঘের সাধারণ সভায়।
বলা যায় অর্থই সব কিছুর নিয়ন্ত্রক। কিন্তু অর্থই অনর্থের মূল– এ কথাটিও যথার্থ। যদি তাই না হয়, তবে অর্থনির্ভর ব্যাংকব্যবস্থায় কেন পিছু ছাড়বে না অনিয়ম আর ব্যত্যয়।
প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় আগে এই অঞ্চলে শুরু হয় ব্যাংকের যাত্রা। তখন আর এখন– এ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় প্রশ্নের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি ব্যাংকিং কার্যক্রম।
২০১৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৪ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক ব্যাংক দিবস হিসেবে মনোনীত করে। এটি ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়। টেকসই উন্নয়নে অর্থায়ন এবং উন্নয়নে ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার স্বীকৃতির জন্য দিবসটি পালিত হয়। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অবদান রাখার দিকটিও গুরুত্ব দেয় সদস্য দেশগুলো।
নানা ধরনের ব্যাংক: পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক দেখা যায়। কাজের ধরন, পরিচালনা পদ্ধতি ও নীতিমালার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেখা যায়।
এদের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিনিয়োগ ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, অফশোর ব্যাংক উল্লেখযোগ্য।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে আস্থা: ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার পরিধিও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা দিতে ব্যাংকগুলোর আলাদা অ্যাপসও রয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকাতেও দুটি এটিএম বুথ আছে। ওয়েলস ফারগো ব্যাংক সেগুলো পরিচালনা করে।
নর্থ ক্যারোলাইনায় ৫৯ বছর বয়সী এক লোক ব্যাংক থেকে ১ ডলার ডাকাতি করেছিলেন। কারণ তিনি গ্রেপ্তার হতে চেয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হলেই জেলখানায় মিলবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা।
পিগি ব্যাংক শব্দটির সঙ্গে পিগ তথা শূকরের সম্পর্ক নেই। মধ্যযুগে মানুষ জারে টাকা জমাত। ওই সময় কমলা রঙের মাটির আরেক নাম ছিল পিগ। আর কুমাররাও টাকা জমানোর জার বানাত ওই মাটি দিয়ে। তা থেকেই আসে পিগি ব্যাংক নামটি।
সামান্য গুজবেও ধস নামতে পারে ব্যাংকে। ১৯৩১ সালে নিউইয়র্কের ব্যাংক অব ইউনাইটেড স্টেট তাদের এক গ্রাহককে স্টক বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছিল। সেই লোক গুজব ছড়াল, ব্যাংকটি গ্রাহককে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে দিচ্ছে না। গুজবে কান দিয়ে আড়াই হাজার গ্রাহক এক দিনেই তুলে ফেলল ২০ লাখ ডলার। তাতেই রাতারাতি ধসে পড়ে ব্যাংকটি।
সিভিল ওয়ারের সময় আমেরিকার ব্যাংকগুলো নিজেদের কাগুজে মুদ্রা নিজেরাই ছাপতে পারত। এতে করে ওই সময় পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ছিল ৮ হাজার রকমের নোট।
এইচএ