এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    ৪০ বছর পর লেবানন-ইসরায়েলের প্রথম সরাসরি বৈঠক

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩২ পিএম

    ৪০ বছর পর লেবানন-ইসরায়েলের প্রথম সরাসরি বৈঠক

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
    লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম। ছবি: সংগৃহীত

    সাম্প্রতিক সময়ে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পটভূমিতে দীর্ঘ ৪ দশক পর দেশ দুটি সরাসরি আলোচনার টেবিলে বসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির এই বৈঠক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

    বুধবার (৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বৈরুত বলেছে যে, এটি শান্তি আলোচনা নয়, বরং শত্রুতা কমানো ও লেবানিজ ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের সেনাদের প্রত্যাহার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা।

    লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম বুধবার বৈরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুর বাইরেও আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত বৈরুত, তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, এটি কোনও শান্তি আলোচনা নয়। সালাম জানান, আলোচনার লক্ষ্য শুধু শত্রুতা বন্ধ করা, লেবাননের বন্দিদের মুক্তি এবং লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করা।

    প্রধানমন্ত্রী সালাম আরও বলেন, লেবানন ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ আছে। সেই উদ্যোগে ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালে দখল করা ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ সরে দাঁড়ানোর বিনিময়ে পরিস্থিতি পূর্ণ স্বাভাবিকীকরণের প্রস্তাব আছে এবং লেবানন কোনও পৃথক শান্তি চুক্তি করতে চায় না।

    তিনি বলেন, বৈঠকে বেসামরিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ উত্তেজনা কমাতে সহায়ক হতে পারে। লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যকার সীমান্তরেখা ব্লু লাইন এলাকায় প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করে কমিটি। বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি ‘দীর্ঘস্থায়ী বেসামরিক ও সামরিক সংলাপের ভিত্তি গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ এবং এভাবে সীমান্ত এলাকায় শান্তির পরিবেশ গড়ে তোলার আশা প্রকাশ করে কমিটি।

    ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদরোশিয়ান এই বৈঠকটিকে ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখন বিশেষ সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

    ২০২৪ সালের যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের বাইরে বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছিল। গত মাসে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে বড় ধরনের উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং এই পরিস্থিতিতেই সর্বশেষ এই বৈঠকটি হলো। ইসরায়েল নিয়মিত লেবাননে বিমান হামলা চালাচ্ছে, তাদের দাবি এসব হামলা হিজবুল্লাহ সদস্য ও স্থাপনাকে লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে।

    যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী লেবানিজ ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি সরে যাওয়ার কথা থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলীয় পাঁচটি এলাকায় তারা এখনো সেনা মোতায়েন রেখেছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপে রয়েছে, তবে তারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছে, এটি লেবাননকে দুর্বল করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা।

    গত সপ্তাহে দলের নেতা নাইম কাসেম অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি হামলা থেকে দক্ষিণ লেবাননকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র। কাসেম আরও বলেন, দলের সামরিক প্রধানকে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় হত্যা করা হয়েছে এবং এটির জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। তারা ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনাকে ফাঁদ হিসেবেও বর্ণনা করেছে।

    অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম বলছেন, হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ছাড়তেই হবে, এটি রাষ্ট্র নির্মাণের অপরিহার্য উপাদান। তিনি মনে করেন, এই সংগঠনের অস্ত্র ‘ইসরায়েলকে ঠেকাতে পারেনি, লেবাননকেও রক্ষা করতে পারেনি।’ লেবানন আর এমন কোনও উসকানিতে জড়াবে না যা দেশে নতুন যুদ্ধ ডেকে আনতে পারে। তিনি গাজার বিষয়ে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

    সূত্র: আল জাজিরা

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…