এইমাত্র
  • দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
  • ভুয়া ফটোকার্ড দিয়ে রাজনৈতিক দলের নামে বিভ্রান্তি শনাক্ত ফ্যাক্টওয়াচের
  • ভোলা ও নড়াইল মুক্ত দিবস আজ
  • দেশে প্রথমবার ব্রুসেলা জীবাণুর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন
  • সীমান্তে চীন–রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের টহল, পালটা পদক্ষেপ নিল জাপান
  • মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্তের আসল নাম-পরিচয় জানা গেছে
  • ৩ শর্তে জাতীয় সরকার গঠন করতে চান জামায়াত আমির
  • ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে আসামে ‘এয়ার শো’ করছে ভারতীয় বিমানবাহিনী
  • নারীবাদীদের ‘দুশ্চরিত্রা’ বলে গালি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর
  • মস্কোর কাছে বিধ্বস্ত রুশ সামরিক কার্গো বিমান, নিহত ৭
  • আজ বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    সীমান্তে চীন–রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের টহল, পালটা পদক্ষেপ নিল জাপান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১০ এএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১০ এএম

    সীমান্তে চীন–রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের টহল, পালটা পদক্ষেপ নিল জাপান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১০ এএম

    জাপানের চারপাশে রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে বোমারু যুদ্ধবিমানের টহল চালিয়েছে। এতে টোকিও যুদ্ধবিমান উড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। টোকিও ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটল।

    মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে জাপান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।

    জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার দুটি টিইউ–৯৫ পারমাণবিক সক্ষমতার কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে গেছে। সেখানে দুটি চীনা এইচ–৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলে প্রশান্ত মহাসাগরে ‘দূরপাল্লার যৌথ টহল’ সম্পন্ন করেছে তারা।

    মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পরে চারটি চীনা জে–১৬ যুদ্ধবিমান বোমারু বিমানগুলোর সঙ্গে যোগ দেয়। এগুলো জাপানের ওকিনাওয়া ও মিয়াকো দ্বীপের মধ্যে যাওয়া–আসা করে। দুই দ্বীপের মাঝের মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলসীমা হিসেবে স্বীকৃত।

    মন্ত্রণালয় জানায়, জাপান সাগরে একই সময় রাশিয়ার বিমানবাহিনীর কার্যক্রমও শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানে একটি এ–৫০ আগাম সতর্ককারী বিমান ও দুটি এসইউ–৩০ যুদ্ধবিমান উড়ছিল।

    রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযান ‘স্পষ্টভাবে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়’।

    জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি আজ বুধবার সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযান ‘স্পষ্টভাবে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়’।

    কোইজুমি আরও জানান, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলোও কঠোরভাবে আকাশসীমা শনাক্তকরণ করেছে ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সব নিয়ম মেনে চলেছে।

    এদিকে মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া ও চীনের যৌথ ফ্লাইট ৮ ঘণ্টা ধরে চলে।

    মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সাতটি রুশ ও দুটি চীনা বিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।

    জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়া ও চীনের টহলরত চারটি বোমারু বিমানের সঙ্গে পরে চারটি চীনা যুদ্ধবিমান যোগ দেয়। এগুলো জাপানের ওকিনাওয়া ও মিয়াকো দ্বীপের মধ্যে যাওয়া-আসা করে। দুই দ্বীপের মাঝের মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলসীমা হিসেবে স্বীকৃত।

    গত রোববার জাপান বলেছে, আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উড্ডয়ন করা যুদ্ধবিমানগুলো জাপানি সামরিক বিমানের দিকে রাডার নিশানা করে। তবে বেইজিং এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    চীনের এসব সামরিক তৎপরতা এমন এক সময় বেড়েছে, যখন গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেন, ‘তাইওয়ানে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে, তবে টোকিও প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।’

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও রাশিয়া বিভিন্ন স্থানে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছে। তারা যৌথভাবে রাশিয়ার মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া করেছে। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে নৌবাহিনীর যৌথ লাইভ-ফায়ার অনুশীলনও চালিয়েছে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…