ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরের দ্বিতীয় ও শেষ ধাপে পোপ লিও রবিবার লেবানন সফরে যাচ্ছেন। এখনো ইসরায়েলি বিমান হামলার ধারাবাহিক লক্ষ্যবস্তু হওয়া দেশটিতে তিনি শান্তির আহ্বান জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পোপ লিও তুরস্কে চার দিনের সফর শেষে সেখান থেকে লেবাননে যাবেন। তিনি তুরস্কে সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্বের অস্বাভাবিক সংখ্যক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণে মানবজাতির ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তিনি ধর্মের নামে সহিংসতার নিন্দাও করেছেন।
পোপের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বৈরুতের হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। এরপর তিনি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাতীয় নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, যা কোনো বিদেশি সরকারের উদ্দেশে তার দ্বিতীয় বক্তৃতা।
মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টানদের অনুপাত যেখানে সবচেয়ে বেশি, সেই লেবানন গাজা সংঘাতের প্রভাবেও গভীরভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।
ইসরায়েল ও লেবাননের শিয়া মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত একটি ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলায় পরিণত হয়।
১০ লাখ সিরীয় ও ফিলিস্তিনি শরণার্থী আশ্রয় দেওয়া এবং বহু বছরের অর্থনৈতিক সংকট থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা লেবাননের নেতারা উদ্বিগ্ন, আসন্ন মাসগুলোতে ইসরায়েল তার হামলা নাটকীয়ভাবে বাড়াতে পারে।
হিজবুল্লাহ নেতা নাইম কাসেম শুক্রবার বলেন, পোপ লিওর এই সফর ইসরায়েলি হামলার অবসানে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা করেন। লেবাননের বৈচিত্র্যময় সামাজিক গোষ্ঠীগুলোও পোপের এই সফরকে স্বাগত জানিয়েছে।
শীর্ষ ড্রুজ ধর্মীয় নেতা শেখ সামি আবি আল-মুনা বলেন, লেবাননের ‘এই সফরের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করা আশার একটি ঝিলিক প্রয়োজন’।
এবি