এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    সীমান্তে পচছে ভারতের পেঁয়াজ, বিক্রি হচ্ছে ২ রুপি কেজি দরে

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম

    সীমান্তে পচছে ভারতের পেঁয়াজ, বিক্রি হচ্ছে ২ রুপি কেজি দরে

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম

    বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায় পচে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে প্রায় ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ।

    পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার সঙ্গে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্ত আছে। মালদহের মাহাদিপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

    মাহাদিপুর-সোনামসজিদ সীমান্ত এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ রুপিতে, (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ টাকা ৭৩ পয়সা) এবং ৫০ কেজির এক-একটি বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০০ রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬ টাকা)।

    মালদার স্থানীয় বাজারে যদিও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে মাহাদিপুরে চলছে এই অবস্থা।

    ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের মৌখিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন তারা। কিন্তু এখন বাংলাদেশি আমদানিকারকরা সেই পেঁয়াজ নিচ্ছেন না।

    মালদহের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী এবং রপ্তানিকারক সিরাজুল শেখ বলেছেন, “বছরের এই সময়ে সাধারণত বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। এই দিক আমলে নিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ ৫০ ট্রাক, কেউ ৭০ ট্রাক এবং কেউ তার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ মজুত করেছে। এসব পেঁয়াজ ইন্দোর এবং নাসিক (ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের দুই জেলা) থেকে আনা হয়েছে। কিন্তু এখন সেগুলো পচছে এবং আমরা ২, ৬,৮ অথবা ১০ রুপিতে স্থানীয় বাজাারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের পেঁয়াজের দাম তো উঠবেই না, ইন্দোর-নাসিক থেকে পেঁয়াজ আনতে যে তেলখরচ হয়েছে— তাও উঠবে না।”

    আরেক রপ্তানিকারক জাকিরুল ইসলাম বলেন, “দু’মাস আগেও যখন আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল— সেসময় আমি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে পাঠাতাম। এখন আমার ট্রাকগুলোর পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে এবং নামমাত্র মূল্যে সেগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।”

    মালদহের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, গত ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশি আমদানিকারক-ব্যবসায়ীরা একটি নোটিশ জারি করেছেন। সেই নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত কৃষ্টি সম্প্রসারণ বিভাগ সাময়িকভাবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তারপর থেকে চলছে এই অবস্থা।

    পশ্চিমবঙ্গের রপ্তানিকারকদের সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির মহাসচিব উজ্জল সাহা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিলেনিয়াম পোস্টকে বলেছেন, “বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে এবং রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যবাসয়ীরা সীমান্তে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২ রুপিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এটা একটা অকল্পনীয় লোকসান। যদি শিগগিরই সীমান্ত খুলে দেওয়া না হয়, তাহলে অনেক রপ্তানিকারক সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন।”

    সূত্র : মিলেনিয়াম পোস্ট, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…